চৌগাছায় প্রভাবশালী বাবলুর রহমান গংয়ের বিরুদ্ধে কাকুড়িয়া বাঁওড় দখল চেষ্টার অভিযোগ করেছেন মৎস্যজীবীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাকুড়িয়া বাঁওড়ের পরিধি ৭৪ একর ২১ শতাংশ। এই বাঁওড়কে কেন্দ্র করে তার পাড়ে গড়ে উঠেছে জেলে পল্লী। বংশপরস্পরায় তারা বাঁওড় থেকে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বছরে প্রায় ৮ লাখ টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে ৬ বছরের জন্য লিজ নেয় মৎস্য সমবায় সমিতি।
মৎস্যজীবীরা বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমরা যখন সরকার থেকে বাওড় লিজ নিয়ে আসি তখন বাধ সাধে ফারুক হোসেন ও হারুন অর রশিদ। তারা আওয়ামী লীগ করেন পেছনে আছে বড় শক্তি। ফারুক বাঁওড়ের প্রায় ১৫ একর জমি কাগজপত্র করে সেটি ফসলি জমি উল্লেখ করে পাটাতন দিয়ে শুরু করে মাছ চাষ। বাকি অংশে হারুন অর রশিদ ভাগ বসায়। আমরা বাঁওড়ে সমুদয় জমি ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হই এবং প্রতিটি রায় আমাদের পক্ষে আসে।
এরই মধ্যে সরকার পতন ঘটে তারাও আর বাঁওড়ে সে ভাবে আসে না, খোঁজখবর নেয় না। কিন্তু হঠাৎ করেই আবার নতুন ভাবে নতুনদের আবির্ভাব ঘটেছে। বড়কাকুড়িয়া গ্রামের মৃত তনু খার ছেলে বাবলুর রহমান যিনি বিগত দিনে ঢাকায় থাকতেন। ৫ আগস্টের পর তিনি নিজ গ্রামে ফেরেন। একদিন তিনি মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি সন্তোষ হালদারকে (৭২) কৌশলে ডেকে নিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর করে নেন।
এরপর থেকে তিনি দাবি করেন আমি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে বাঁওড় সভাপতির কাছ থেকে নিয়েছি, এই বাঁওড়ে এবার আমিই মাছ চাষ করবো। তিনি দ্রুত বাঁওড়ের সব মাছ ধরে নিতে মৎস্যজীবিদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। বাবলুর রহমানের সাথে আছে তার ভাই ইসলাম, একই গ্রামের ইউছুপ গাজীর ছেলে নুর ইসলাম, মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল কাদের প্রমুখ। মৎস্যজীবীরা কোনো উপায় না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মৎস্যজীবী সমিতির চেয়ারম্যান নিমাই হালদার, রতন হালদার, রাজ কুমার, বিষ্ণু হালদার, সুচিত্রা হালদার, উষা রানীসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, বাঁওড় আমরা সরকার থেকে বছরে নির্ধারিত ফি দিয়ে ডেকে নিয়েছি। অথচ বাবলুর রহমান গং বলছেন তারা আমাদেরকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে বাঁওড় নিয়েছেন যা নিছক মিথ্যা বানোয়াট কথা।
এ বিষয়ে বাবলুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ঢাকাতে ছিলাম সত্য। পাঁচ তারিখের পর বাড়িতে আসি এবং মৎস্যজীবীদের সাথে কথা বলে বাঁওড় তাদের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছি। আদালতের মাধ্যমে নোটারি পাবলিক থেকে স্ট্যাম্পও করা আছে বলে তিনি দাবি করেন।
যশোর প্রতিনিধিঃ মোঃ তারিক হাসান (রকি)