যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ মুসার জানাজা আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পর তাঁর নিজ গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সাধারণ মানুষ এবং জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অসংখ্য নেতাকর্মী। দলীয় নেতাকর্মীর বাইরেও এলাকার দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অংশ গ্রহণে শেষ বিদায় জানানো হয় বিএনপির এই প্রবীণ নেতাকে।
মোহাম্মদ মুছার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, “মুসা চাচা ছিলেন দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। তিনি সবসময় মানুষের পাশে থেকেছেন এবং তাঁর আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।” তিনি আরও যোগ করেন, “মুসার আদর্শকে সামনে রেখেই বিএনপি নেতাকর্মীরা ভবিষ্যতে পথ চলবে।”
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মুসা মনিরামপুরের গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত পান। সাধারণ মানুষের কল্যাণে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এলাকার মানুষ শোকপ্রকাশ করে বলেন, “আমরা এক নিবেদিতপ্রাণ নেতা ও অভিভাবককে হারালাম। তার অনুপস্থিতি ফাঁকা করে দিচ্ছে। তাঁর আদর্শ ও ত্যাগ কখনও ভুলে যাওয়া যাবে না।”
জানাজার শেষে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ এতে অংশ নিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
মুসা শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। পরে উপজেলা সভাপতি ও আশির দশকে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিকবার হয়রানিমূলক মামলায় কারাভোগও করেছেন। মুসার মৃত্যুতে মনিরামপুরে শোকের ছায়া নেমেছে এবং রাজনৈতিক সমাজ ও সাধারণ মানুষ তাঁকে মনে রাখবে একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে।
যশোর প্রতিনিধিঃ মোঃ তারিক হাসান (রকি)