ঢাকা | বঙ্গাব্দ |

পদ পদবী না থাকলেও সে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 7, 2025 ইং
নায়েব আলী ছবির ক্যাপশন: নায়েব আলী
ad728
পর্বঃ১
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
পদ পদবী না থাকলেও সে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের অর্থ ডোনার বলে নিজেকে পরিচয় দেন মোঃ নায়েব আলী নামের একজন। ঘটনা মাগুরা জেলার শিরিজদিয়া গ্রামের মৃত সামাদ শেখের ছেলে নায়েব আলী।চাকুরী করে সুপার ষ্টার কোম্পানিতে।বিগত হাসিনা সরকারের আমলে নায়েব আলী বিএনপি আন্দোলনের জন্য তিনি কোটি কোটি টাকা ডোন্টে করেন বলে দাবী তার বড় ভাই আব্দুর রউফের।তার সাথে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভী সাহেবের সাথে সম্পর্ক আছে ।তাকে এক নামে চিনে বিএনপির হাইকমান্ডের সকল নেতারা।এই রকমটায় শোনা যায় তার নিজের গ্রাম শিরিজদিয়া,পাশের গ্রাম চাঁদপুর, ধলহার ও বুজরুক শ্রীকুন্ডি গ্রামের লোকজনের মুখে শোনা যায় আরও চমকপ্রদ কথা। নায়েব আলী কয়েকদিন আগে বিএনপির নাম ভাংগিয়ে বাগিয়ে নেন ধলহারা চাঁদপুর হাইস্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি। সাথে শিরিজদিয়া  বাওড় করেছে দখল। সাথে রেখেছেন আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু সহ আসে পাশের গ্রামে আওয়ামীলীগির নেতা কর্মিদের।যার ফলস্বরূপ এখন মাগুরা জেলা বিএনপির এক গ্রুপ তার বিপক্ষে থাকলে আর এক গ্রুপ তার পক্ষেে কাজ করছে বলে জানা গেছে।তারই ধারাবাহিকতায় শিরিজদিয়া বাওড় সমবায়সমিতির প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ টি পরিবার যারা ঐ বাওড়ের আয়ের উপ দাঁড়িয়ে পরিবার বর্গ নিয়ে জীবন জীবিকা পরিচালনা করেন।।সেই সব হিন্দু পরিবারের উপর নেমে আসে কালো মেঘের ছোঁয়া।কথা বলার কোন সুযোগ না থাকায় ভয়ে আছে সকল পরিবার।বিশেষ একটি সুত্রে জানায় যায় এই বাওড় শিরিজদিয়া শহিদ  ফকিরের ছেলে তুহিনুল ইসলাম তুহিন জেলা ছাত্র দলের সুপার ফাইভ নেতা হিসেবে রয়েছে ব্যাপক প্রভাব।আর একটি গোপন সুত্রে খবর আসে নায়েব আলীর শেল্টাদাতা হিসেবে নাম উঠে আসে ঢাকা মহানগর দক্ষিন যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের আত্মীয় হওয়ায় নায়েব সকল প্রকার দখল ও নামে বেনামে তার বড় ভাই আব্দুর রউফ,জহুর,ও ফেলা নামের একটি গোপন বাহিনীর সন্ধান পাওয়া যায়। আদেশ করেন নায়েব কয়েম করেন রউফ।এলাকায় গোপন সংবাদে জানা যায় সেেনাবাহিনী রবিউল ইসলাম নয়নের বাড়ীতে তল্লাশী চালিয়ে ছিল।নয়ন পালিয়ে থাকায় সে দিন সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার তাকে গ্রেফতার না করতে পারলেও উদ্ধার করেন দেশিও অস্ত্র। এলাকার সাধারন জনগন বলেন নায়েব বা তার ভাই কোন দিন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত  ছিল না।দেশের থেকে শেখের বেটি হাসিনা পালানোর পর থেকে নায়েব হয়ে উঠছে এক ভংয়কর নেতা হিসেবে।নায়েব ও নয়নের ভয়ে এলাকার মানুষ এখন দিশেহারা। পরিবেশ যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে নায়েবের ও তুহিনের আওয়ামী বাহিনী নতুন সাজে সাজিয়েছে ঘর।চাদঁপুরের একজন সব থেকে সিনিয়র  বিএনপির নেতার সাথে কথা বলে জানা যায় নায়েবের রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও নয়নের কারনে নায়েব বড় নেতা।তাকে কে ঠেকাবে।এত বছর জেল মামলা হামলার শিকার হয়েও আমরা কিছুই করতে পারি না আমার জনবল থাকতে কথা বলতে পারি না।আর নায়েব ঢাকা থেকে হুকুম করে তার ভাইয়েরা হুকুম তামিল করে বলে জানান।

ঐ বিএনপির সিনিয়র নেতার কাছে এক প্রশ্নের উওর জানতে চাইলে বলেন শিরিজদিয়া বাওড় মাঝিরা সবাই মিলে ভাগবাটরা করে খায় সেখান নয়নের হস্তক্ষেপে নায়েব শহিদ ফকির সহ অনেকে দখল করে নিয়ে হিন্দু পরিবারের উপর নেমে আসে কালো মেঘের ছায়া।ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাই না ঐ হিন্দু পরিবার গুলো।আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন জনাব তারেক রহমানের সাথে নায়েব ও নয়নের সাথে প্রায় কথা হয়।শোনা যায় এলাকার লোকমুখে। তিনি আরও বলেন বিএনপি ও তারেক রহমানের গলার কাঁটা হবে এই মাগুরা বেরইল পলিতার রবিউল ইসলাম নয়ন।তখন বুঝবে বিএনপির কতটুকু উপকার হয়েছে না ক্ষতি হয়েছে।মাগুরা জেলা বিএনপির একজন সিনিয়র নেতার কাছে বরিউল ইসলাম নয়নের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন সে ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুবদলের নেতা হয়ে মাগুরা জেলা বিএনপির নেতাদের পিছনে লেগে থাকে।এতে করে জেলা বিএনপির বিভিন্ন নেতার মাঝে দেখা দিয়েছে  ক্ষোভ।প্রশাসনে রয়েছে তার একক ক্ষমতার চাপ ফলে প্রশাসনের বড় অফিসার গুলো রয়েছে দ্বিধায়।যে কোন সময় হতে পারে মাগুরা বিএনপির এক গ্রুপের সাথে অন্য এক গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ হতে পারে বহু হতাহত এমনটা আশা জেলার বিভিন্ন পেশার মানুষের। এখানেই শেষ না নয়নের মাগুরায় একক অধিপত্যে বিস্তার নিয়ে জনগনের মনে আছে ভয় হতে পারে যে কোন সময় হতাহতের মত ঘটনা।জনগনের চাওয়া মাগুরা জেলার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ  জায়গায় কাজী সালিমুল হক কামাল, বাবু নিতাই রায়,ও হালিমা আরলি আপার  মত নেতারা থাকতে কেন জনাব তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  সাহেব এই রবিউল ইসলাম নয়নে এত ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন।যেনো তার কথায় শেষ কথা।এই রকম বিএনপি আমাদের দরকার নাই শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতের ধাঁনের শীষ, খালেদা জিয়ার দেশাত্মবোধের, তারেক রহমানের নিতির রাজনীতি দেখতে চাই আমরা। 

নায়েব আলীর উত্থান মাগুরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জনাব নাজিমউদ্দীনের ছোট ভাই হাসানুল বারী হাসানের হাত দিয়ে আগমন হয় সুপার ষ্টার কোম্পানিতে।চাকুরী তার যেনো সোনার হরিণ হয়ে যায়।বনে যান কোটি কোটি টাকা গাড়ী, বাড়ীর মালিক।নায়েবের বাড়ীর পাশে শুনিল, নিখিল,সোমনাথ নামে তিন ভাইয়ের হিন্দু পরিবার বসত করতেন।নায়েব ও তার ভাইদের গোপন অত্যাচারে রাতে আধারে পালিয়ে পাড়ি জমান ইন্ডিয়াতে।হিন্দুদের সেই সম্পতি নামে মাত্র কিছু টাকা দিয়ে ক্রয় করে নিয়েছে নায়েব বলে জানায় এলাকা বাসী। সেখানেই নায়েব আলী একতলা একটি আলিশান প্রাসাদ করেছে বলে তার গ্রামের কিছু হিন্দু ও মুসলিম পরিবার বলেন।নায়েব আলী চাকুরী করার আগে তার  ছয় ভাইয়ের মধ্য বড় ভাই  আসাদ ও তার ছোট ভাই জহুর করতেন রাজমিস্ত্রির কাজ।মেঝো ভাই করেন কৃষি কাজ বিভিন্ন মানুষের জমি বাগিবর্গা নিয়ে চলেন তিনি।সেঝো ভাই রউফ করেন মাগুরা একটি বেসরকারি হাসপাতালের ম্যানেজারের চাকুরী। সবার ছোট ভাই করেন ঢাকায় একটি চাকুরী।এই স্বল্পো বেতনের চাকুরী করে কি করে এত টাকা ও সম্পত্তির মালিক বনে গেলেন স্বপরিবার।

নায়েবের এলাকার মানুষের মুখে শোনা যায় অন্য কথা সে বিগত সরকারের আমলে শেষ নির্বাচনের আগে একটি কোম্পানির অর্থ তছরুপ করার দায়ে খেটেছেন জেল। অথচ গ্রামের লোকজনের মুখে জানা যায় ভিন্ন কথা। এলাকার লোকমুখে শোনা যায় সে বিএনপির হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগের কারন তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।৯ নং চাউলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কিছু নেতার সাথে কথা বলে জানা যায় নায়ের ও নয়ন মিলে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেটের সাথে যে জড়িত থাকবে সে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে।তা না হলে তার কপাল খারাপি আছে এ রকম হুমকি প্রতি নিয়ত চলমান  রয়েছে।সে নায়েবকে উদ্দেশ্য করে বলেন তার পরিবারে বিএনপির রাজনিতির সাথে কোন প্রকার জড়িত নাই।তিনি  আরও বলে মাগুরা জেলা বিএনপির এক সময়কার জনপ্রিয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নায়েবের চাচাতো ভাই নাজিম উদ্দিন মাষ্টার।সেই সময়ও বিএনপির কোন কমিটিতে নায়েবের পরিবারের কোন সদস্যর নাম না থাকলেও এখন সে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বলে পরিচয় দেন তার ভাই আব্দুর রউফ।যদি ও রউফ আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী নেতা শিরিজদিয়া ফিরোজ মাষ্টারের শেল্টারে চলতেন তিনি।শিরিজদিয়া বাওড় থেকে লুটে নেন কোটি টাকার মাছ।এতে মাঝিরা বা হিন্দু পরিবার প্রতিবাদ করলে শুরু হয় বেশি মাত্রার দখল।যদিও বাওড় হিন্দু পরিবার প্রতি বছরের ন্যায় ইজারা আনেন সরকারের থেকে। জাল যার জলকর তার নিতিতে এই হিন্দু পরিবার সরকার থেকে ইজারা নিয়ে ব্যবসা করে জিবিকা নির্বাহ করে থাকেন ঐ বাওড় কুলের মাঝি পরিবার গুলো।সেটাও এখন নাই তাদের। বেচেঁ থাকার শেষ সম্বলটুকু এখন আর নাই। দিশেহার হয়ে পড়েছে মাঝি পরিবার গুলো।মাগুরা জেলার বিএনপি, যুবদল,সেচ্ছাসেবক দল,ছাত্রদলের একাধিক নেতার মুখে শোনা যায় মহাসচিব স্যারের নাম ভাংগিয়ে কোটি টাকার সম্পদ লুটে নিতে পারে না নায়েব।  দলের নিতিনির্ধারনী  নেতা জনাব তারেক রহমানের নাম  বলে এত খারাপ কাজ আমরা নির্যাতিত নেতারা মেনে নিতে পারি না।যে ভাবে হোক এখানেই তাকে ঠেকাতে হবে নায়েবকে না হলে দলের বদনাম হবে মাগুরা জেলা বিএনপি সহ সকল অংগসমূহের। এই রকমটা মাগুরা জেলার সাধারন জনগন ও তৃর্নমৃল পর্যায়ের নেতাদের আশা আখাংক্ষা।
এই সংবাদ সংগ্রহ করার জন্য মাগুরাতে এখনো আমাদের দুইটি টিম কাজ করছে।আগামী পর্বে আরও বেশ কিছু নিউজ নিয়ে আসবো আপনাদের মাঝে।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Talha


কমেন্ট বক্স