প্রতি সফরে খরচ হয়েছে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকা; দুই সফরে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে তিনি তাঁর মা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের সদস্যসহ মোট সাতজনকে নিয়ে বিজনেস ক্লাসে ওমরা পালনে সৌদি আরব যান। পাঁচতারকা হোটেলে থাকা, বিলাসবহুল গাড়িতে চলাফেরা— সব মিলিয়ে সেই সফরের ব্যয় ছিল আরও প্রায় ২৮ লাখ টাকা। প্রশ্ন উঠেছে— একজন সরকারি উপসচিবের এমন বিলাসী জীবনযাপনের উৎস কোথায়? প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ট্রাভেল এজেন্সি সিন্ডিকেট থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়া, ঘুষ লেনদেন ও দায়িত্বে গাফিলতি– এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে ওএসডি করা হয়েছে। সরকারি প্রশাসনে ওএসডি পদে রাখা হয় সাধারণত যেসব কর্মকর্তা বিতর্কিত, অনিয়মে জড়িত বা দায়িত্ব থেকে সরানো প্রয়োজন বলে বিবেচিত হন। অর্থাৎ, মোতাকাব্বির এখন কার্যত দায়িত্বহীন ও প্রশাসনিকভাবে ‘সাইডলাইনে’। তবু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—এত দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিলাসিতার পরও তাঁর চাকরি কীভাবে টিকে আছে? প্রশাসনের ভেতর থেকেই এখন এই প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে জোরালোভাবে।
Talha