ঢাকা | বঙ্গাব্দ |

আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ বলে আক্ষেপ নজরুল ইসলামের

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jul 5, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, স্বায়ত্তশাসন, গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের ছাত্র আন্দোলন এবং ২৪-এর ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে অনেকে জীবন দিয়েছে। এত জীবন দেওয়ার পর এখনো অসংগতি নিয়ে আলোচনা হয়, এটা কেন হবে?

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ; আর কত লড়াই করবে এ দেশের মানুষ। মানুষ প্রাইমারি স্কুল থেকে হাই স্কুলে ওঠে, হাই স্কুল থেকে কলেজে যায়, কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়, আস্তে আস্তে মানুষ উন্নত হয়। আস্তে আস্তে মানুষের পরিবর্তন হয়, ইতিবাচক পরিবর্তন।


আর আমরা বারবার যেন সাপ-লুডুর মতো অনেক দূর এগিয়ে  যাই, আবার সাপে কাটলে নিচে চলে আসি, আবার আগানোর চেষ্টা করি, এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ কতটুকু সুরক্ষা দেয়?’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন। সেমিনারটি আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে শ্রম আইনে আছে, প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র দিতে হবে, কিন্তু আমাদের দেশে যত শ্রমিক আছে, তার ২০-২৫ শতাংশ শ্রমিককও নিয়োগপত্র পায় না।


তাদের গ্র্যাচুইটি, সুবিধা তার কোনোটাই দেওয়া হয় না, যা শ্রম আইনে লেখা আছে। যারা শ্রমিককে কম মজুরি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি বা অভিযোগ দেওয়ার কোনো মেকানিজম নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের নারী, শিশু, যুবক, শ্রমিক সবার জন্য আইন আছে। কিন্তু তারা কি আইনের বিষয়ে কিছু জানেন, বোঝেন, বা সুফল ভোগ করতে পারেন? প্রত্যেকে রাজনৈতিক দলের যারা প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের উচিত সবাইকে আইন বুঝিয়ে দেওয়া, আইনের সুফল বোঝানো।


আর যদি তা না করা হয়, সাধারণ মানুষ সেই তিমিরেই থেকে যাবে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে তারা যদি আইন প্রয়োগে কোনো ভুল করে, ইচ্ছাকৃত ভুল এবং তারা যদি অন্যায়ভাবে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে জনগণের ওপর নিপীড়ন চালায়, তাদের শাস্তির বিধান কোথায়? সংস্কার কমিশনে আলাপ হচ্ছে, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, আমাদের যে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো- বিশাল ক্ষমতার অধিকারী যারা, তাদের কী হবে? হয় তারা পদত্যাগ করে কিংবা তাদেরকে অবসর দেওয়া হয়। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ একটা দেশের বা অন্য একটা মানুষের কতই বা ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু যারা বড় বড় পদে বসে আছে, যারা বড় বড় দায়িত্ব পালন করছে, তারা তো এই দেশ এবং দেশের মানুষের অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে এই যে সুরক্ষা আইন, এসব আইন যারা কার্যকর করবে, যারাই ক্ষমতার অধিকারী হবে রাষ্ট্রের মাধ্যমে, তাদের প্রত্যেককেই দায়বদ্ধ এবং জবাবদিহিতার আওতায় রাখা।


আর সে কারণে তারা যদি তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে কিংবা অপরাধমূলক কোনো কাজে যুক্ত হয়, তাহলে তাদের জন্য শাস্তি হয়, সেই বিধান যেন প্রত্যেক আইনে থাকে, এ রকম একটা দাবিও আমাদের থাকা দরকার। আর না হলে আইনের ভাষা যত সুন্দরই করি, আমাদের যত আকাঙ্ক্ষা আমাদের আইনের কাগজ দ্বারা লিপিবদ্ধ, এতে সাধারণ মানুষের কোনো কল্যাণ হবে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা এতে বক্তব্য দেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Talha


কমেন্ট বক্স