শিক্ষক এবং বিএনপি নেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর বলেছেন, মব ইউনূস সরকারের প্রত্যক্ষ মদতেই হচ্ছে। এরজন্য একদিন তাকেও আদালতে কাঁদতে হবে। এছাড়া নির্বাচন প্রলম্বিত করতেই এসব ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর বলেন, ‘ডক্টর ইউনুস ৫ ফেব্রুয়ারির পরে বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র আছে সংবিধান আছে।
আইন আছে। আপনারা যারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আপনারা মামলা করেন। সরকার অ্যাকশন নেবে। একটা আধুনিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান, নোবেল লরিয়েট এভাবে বলতে পারেন যে আপনি মামলা করেন? আপনি (ড. ইউনূস) প্রায়র সেফটি দিবেন না আমাকে? বা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে ব্যবস্থা নেবেন না? আপনি বলেন যে মামলা করেন! আপনার সামনে হচ্ছে, ঘন্টার পর ঘন্টা হচ্ছে।
এইটা মৌন সমর্থন না, এটা তাদেরকে উসকে দেওয়া। মব সৃষ্টিকারীদের উস্কানি দেওয়া যে দেখো এটা করলে আমরা কিন্তু কিছু বলি না।’
ইউনূস সরকারের প্রত্যক্ষ মদতেই মব হচ্ছে জানিয়ে মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর বলেন, ‘প্রত্যেকটা মব হয়েছে এই ইউনুস সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়, প্রত্যক্ষ আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে। ৫ ফেব্রুয়ারির পরে যখন বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন আর মব হবে না, এরপরে যতগুলো মব হইছে আমি মনে করি এই সবগুলো মবের জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার নামে মামলা হবে।
একদিন না একদিন এরা প্রসিকিউটেড হবেন। এরা আদালতের মুখামুখি দাঁড়াবেন। আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে কেঁদে বলতে হবে, এটা আমরা আশ্রয় দিয়েছিলাম, প্রশ্রয় দিয়েছিলাম। আমরা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলাম। এটা ভুল হয়েছিল।
’
তিনি আরো বলেন, ‘উনারা মনে করছেন যে সবকিছু সুন্দর, সবকিছু পার পেয়ে যাবেন। ঠিক না। এবং এই লোক, যে ডক্টর ইউনূসের গভমেন্ট সর্বক্ষেত্রে একটা একটা জায়গায় ভেজাল লাগাতে চাচ্ছেন।
মবকে প্রশ্রয় দিয়ে সরকারের লাভ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর বলেন, ‘মবকে প্রশ্রয় দিয়ে লাভ হচ্ছে যে তিনি একটা সময় গিয়ে আগামী নভেম্বর ডিসেম্বরে বলবেন, ভাই দেশে তো ইলেকশন করার পরিস্থিতি নাই। আমার পুলিশ দাঁড়ায় নাই। আমার কি এই অবস্থা নাই, ওই অবস্থা নাই। আমার এইটা হচ্ছে না, ওইটা হচ্ছে না। দেশ চলছে না। এখন এই অবস্থায় নির্বাচনটা করবো কিভাবে ভাই? একটু বলেন আপনারা! এসব বলবেন। উনার (ইউনূস) যতগুলো কাজ আছে সবগুলো কাজের লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা। নির্বাচনের সিস্টেমকে প্রলম্বিত করা।’