ঢাকা | বঙ্গাব্দ |

এনবিআরে আজও চলছে শাটডাউন, স্থবির কার্যক্রম

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 29, 2025 ইং
ছবিঃ সংগৃহীত ছবির ক্যাপশন: ছবিঃ সংগৃহীত
ad728

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বর্তমান চেয়ারম্যানের অপসারণ ও সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে রাজস্ব খাতের সংস্কারের দাবিতে আজ রবিবারও কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি পালন করছেন সংস্থাটি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে কেউ এনবিআরে কেউ প্রবেশ কিংবা বের হতে পারছেন না। এতে কার্যক্রম স্থবির রয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সবগুলো গেট বন্ধ।সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। আর আন্দোলনকারীদের হাতে আজও ‘দফা এক, দাবি এক, চেয়ারম্যানের পদত্যাগ’, ‘আব্দুর রহমান খানকে রেখে কোনো আলোচনা নয়’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড। 

আন্দোলনকারী একজন কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর চেয়ারম্যান সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তায় অফিসে আসছেন, আর আমরা গেটের বাইরে রোদে পুড়ছি, বৃষ্টিতে ভিজছি। তিনি যদি দায়িত্ববান হতেন, শুরু থেকেই আমাদের গুরুত্ব দিয়ে আমাদের বক্তব্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতেন।

সমস্যার মূলে আসলে তিনিই, কারণ তিনিই সমস্যা জিইয়ে রেখেছেন। গতকালও এনবিআর ভবন অবরুদ্ধ ছিল, আজও তাই। ফ্যাসিবাদী সরকারের মতো ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন তিনি। আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণ না করে ঘরে ফিরে যাব না।

এদিকে এনবিআরের অচলাবস্থা নিরসেন  গতকাল শুক্রবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের নির্দেশনা, কর্মকর্তাদের বদলি আদেশ পুনর্বিবেচনা ও আগামী মঙ্গলবার তিন পক্ষের মধ্যে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সরকারের পক্ষ থেকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানিসহ বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ঘোষিত কমপ্লিট শাটডাউন ও মার্চ টু এনবিআর কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ দপ্তরে অবস্থান করে কাজে মনোনিবেশ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ওই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন না এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ফলে অচলাবস্থা থেকেই যায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামের দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ২৬ মে পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতির আন্দোলন করে এনবিআরের অধীন কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা।

তবে ২৫ মে রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত নয় বরং এ প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। যার কারণে ২৬ মে কলম বিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। তবে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও চেয়ারম্যানকে অসহযোগিতা করার ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। মাঝের সময় কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সমঝোতা না হওয়ায় গত ২১ জুন সংবাদ সম্মেলন করে দ্বিতীয় দফায় ২৩ জুন থেকে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।



নিউজটি আপডেট করেছেন : Talha


কমেন্ট বক্স