যশোরের চৌগাছায় স্বামী ও শাশুড়ির অমানবিক মারধর ও নির্যাতনে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী গৃহবধূর গর্ভের সন্তান মারা গেছে।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় ভুক্তভোগী মা কাকলী (১৬) তার মৃত নবজাতকের মরদেহসহ থানায় গিয়ে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে চাইলেও, স্বামী ও তার আত্মীয়-স্বজনদের হুমকিতে বাধ্য হয়ে থানা থেকে বেরিয়ে যান ওই হতভাগা গৃহবধূ।
ঘটনাটি ঘটেছে চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের নগর বর্ণি গ্রামে। ভুক্তভোগী কাকলী জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে তার স্বামী রানা (১৯) তাকে গর্ভবতী অবস্থায় অমানবিক ভাবে মারধর করেন। এরপর তার শাশুড়ি রেহেনা বেগম তাকে দুই দিন কোনো খাবার না দিয়ে ঘরে আটকে রাখেন।
স্বামী রানা ও শাশুড়ির শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের একপর্যায়ে ৭ মাসের গর্ভবতী কাকলীর অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। চিকিৎসকরা জানান, গর্ভের শিশুটির বয়স হয়েছিল সাত মাস।
চিকিৎসাধীন কাকলী হাসপাতালে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে মৃত নবজাতকের মরদেহসহ চৌগাছা থানায় উপস্থিত হন। তিনি স্বামী রানা ও শাশুড়ি রেহেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে যান।
তবে থানার ডিউটি অফিসার তাকে জানান, থানায় অভিযোগ দিলে নবজাতকের পোস্টমর্টেম করতে হবে।
এরপর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের হুমকিতে মৃত নবজাতক শিশু নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন কাকলী। রবিবার বিকালে ৭ মাসের নবজাতকের দাফন সম্পন্ন করে তার পরিবার।
অমানবিক নির্যাতনে ৭ মাসের নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি পারিবারিক হলেও এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তিনি আরও জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে i
যশোর জেলা প্রতিনিধি।।
মোঃ তারিক হাসান (রকি)