ঢাকা | বঙ্গাব্দ |

সাংবাদিকরা যেন আরো দায়িত্বশীল হই, গণআস্থা ফেরাতে পারি : হাসান হাফিজ

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : May 4, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728
সাংবাদিকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ। আজ রবিবার প্রেস ক্লাবে সম্পাদক পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে ১৮ মাসে ২০০ শতাধিক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪২ জন কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেছেন।


বাংলাদেশেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের রক্তধারা রয়েছে। দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধেও সাংবাদিকরা প্রাণ দিয়েছেন। সুতরাং গণমানুষের মুক্তির জন্য আমরা আছি। স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়।

আমরা যেন দায়িত্বশীল হই, আমরা যেন গণআস্থা ফিরিয়ে আনতে পারি। সে চেষ্টা আমাদের করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে অনেক গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে, অনেকে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি, সেগুলো আমরা ভবিষ্যতে চাইব না। নতুন রাজনৈতিক দল যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা আশা করব তারা মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করবে।


সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী প্রমুখ।

সভায় ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি নির্দ্বিধায়, স্পষ্ট ও দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা বরাবর সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমরা কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করিনি। আমরাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি।’

বর্তমান প্রেক্ষিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে বেড়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সূচকে ১৬ ধাপ উত্তরণ ঘটছে।

এদিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণমাধ্যম বিভিন্ন সময়ে সরকারি চাপের মধ্যে পড়েছে। তবে আমি মনে করি, গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। বিশেষত আমার সময়েও সেটা অনেক কম ছিল। আমরা কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করার পক্ষে নেই। কিন্তু তাদের ভেতরকার ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর যে দলীয়করণ নীতি চালিয়েছে, গণমাধ্যমও তার বাইরে ছিল না। সুতরাং গণমাধ্যমকে এই ফ্যাসিজমের ভেতর থেকে বের করে আনতে আমাদের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। কারণ বিগত সময়ে মিডিয়া ও ফ্যাসিজমের যে সম্পর্ক ছিল, সেটা আধিপত্য থেকে যদি মিডিয়া বের না হয়, তাহলে জুলাই-পরবর্তী যে মুক্ত গণমাধ্যমের চিন্তা আমরা করছি, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’


নিউজটি আপডেট করেছেন : Talha


কমেন্ট বক্স