যশোর জেলা প্রতিনিধি,
মো: তারিক হাসান (রকি)
যশোরের চৌগাছায় আব্দুর রহিম নামে এক চাতাল ব্যাবসায়ী এলাকার ৬ জনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। ফলে ভুক্তভুগীদের জীবিকা নির্বাহ করা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সিংহঝুলী ইউনিয়নের ঝাউতলা বাজার এলাকায়। এ ঘটনায় ভুক্তভুগীরা প্রতিকার চেয়ে চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে প্রতারক আব্দুর রহিম সিংহঝুলী এলাকার জেবিস্ক নামে একটি মিল-চাতালে শ্রমিকের কাজে আসেন। এ কাজের পাশাপাশি তিনি ক্ষুদ, কুড়া, পালিশ ও চাউলের ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি গরুর খামার ও একাধিক গোডাউন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।
৬ মাস আগে প্রতারক আব্দুর রহিম ব্যবসা বাড়ানোর জন্য প্রলোভন দেখিয়ে সিংহঝুলী ইউনিয়নের ঝউতলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে গ্রাম পুলিশ রাকিবুর রহমানের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা, একই গ্রামের বুদুর ছেলে জিয়ার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা, ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুস সালামের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা, ঝাউতলা মান্নান হোসেনের চাতাল কর্মী মৃত কালাচানের ছেলে আব্দুর রশিদের নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আব্দুর রশিদের স্ত্রী ফজিলাতুন নেছার নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আব্দুর রশিদের ছেলে মোস্তাকিম হোসেনের নিকট থেকে ২ লাখ টাকাসহ মোট নগদ ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন প্রতারক আব্দুর রহিম ।
এর আগেও আব্দুর রহিম বিভিন্ন জেলায় বসবাস করার পরে বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে ব্যবসা করার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। প্রতারক আব্দুর রহিম সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা গ্রামের দাউদ খার ছেলে। ভুক্তভোগীরা জানান তারা এ প্রতারকের ফাঁদে পড়ে অনেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে লোন দিয়ে তার হাতে তুলেদেন।
ভুক্তভোগী রাকিবুর রহমান বলেন, প্রতারক আব্দুর রহিম আমার বলেন ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ৬ লাখ টাকা দিতে। আমি সরল মনে নিজের নগদ টাকাসহ ব্র্যাক ও ব্যুরো বাংলা এনজিও থেকে লোন নিয়ে ৬ লাখ টাকা দিই। পরে সে পালিয়ে যায়।
প্রায় এক মাস যাবত তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না এমনকি তার ব্যবহৃত মোবাইল সিমও পরিবর্তন করে ফেলেছেন, বর্তমানে এনজিও কর্মকর্তারা টাকার কিস্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। এনজিও সুপারভাইজার ও অফিসাররা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আমার পরিবার পরিজন নিয়ে দারুণ সমস্যায় রয়েছি।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন,আব্দুর রহিম এর নামে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Talha