আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ষড়যন্ত্রের শেষ নয়, সজাগ থাকো বাংলাদেশ।
শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. শফিকুল ইসলাম তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘বহিরাগতদের হামলা এই ক্যাম্পাসে কখনো সহ্য করা হবে না।’
অন্য সদস্যসচিব মো. তরিকুল ইসলাম তুষার বলেন, ‘ধিক্কার জানাই এই প্রশাসনকে। অযোগ্য ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।’
বাংলাদেশ ইসলাম ছাত্রশিবিরের বাকৃবি শাখা এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের বর্বরোচিত হামলা এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিরাগতদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে আশ্রয় নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা ময়মনসিংহের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখা এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা সন্ত্রাস দখলমুক্ত গণতান্ত্রিক শিক্ষা অঙ্গন। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা সেই আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে— হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ন্যায্য দাবি মেনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার।
Talha