বিশেষ প্রতিনিধি :- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এরা করা ? এদের খুঁটির জোর কোথায় ? যাদের দুর্নীতির ফিরিস্তি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হয়। পতিত আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে এদের কেউ ছুঁতে পারে নাই এমন অভিযোগ রয়েছে সর্বত্র। এখন তারা তাদের পুরোনো আওয়ামী কানেকশন থেকে বের হয়ে নতুন সিন্ডিকেটের পথে হাটছে এই চক্র ।
(১) মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা,(২) আসাদুজ্জামান মোড়ল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং (৩) মোঃ শাহিনুর ইসলাম কর্মকর্তা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (জি, এস, আনন্দ মোহন কলেজ, মুক্তাগাছা) । নিজেদেরকে সাবেক ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে এই তিনজন এবং সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের এপিএস তাঁর ভাই মোঃ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ভাতিজি শামীমা সুলতানা হৃদয়, ইয়াসিন আরাফাত পৃথিবী ভাতিজি জামাই মেহরাব হোসেন পাটোয়ারীর সমন্বয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দপ্তর সংস্থায় নিয়োগ, বদলী বাণিজ্যের মহা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন সেই পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে। সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী, বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান ও মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং তাঁদের নিকট আত্মীয় স্বজনের সমন্বয়ে এর ছত্র ছায়ায় লুটপাটের মহাউৎসব বানিজ্য করেন।
এই তিন নাটের গুরু শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের লুটপাটের হোতা (১) মোঃ সাইফুল ইসলাম, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা,(২) আসাদুজ্জামান মোড়ল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং (৩) মোঃ শাহিনুর ইসলাম কর্মকর্তা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (জি, এস, আনন্দ মোহন কলেজ, মুক্তাগাছা) এদের সেই সময়ের লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে “দৈনিক সময়ের আলো” ২০২৪ ইং সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি “সিন্ডিকেটের দুর্নীতিতে ডুবছে শ্রম মন্ত্রণালয়” শিরোনামে একটি লিড নিউজ করে ।
একেই সাথে শীর্ষ কাগজ তাদের ১০ম সংখ্যায় ২০২৪ ইং সালের ১২ ফেব্রুয়ারি “শ্রম মন্ত্রণালয়ে সিন্ডিকেট :শোক দিবসের বরাদ্দ নিয়েও দুর্নীতি-লুটপাট” এবং ১২ তম সংখ্যায় ২০২৪ ইং সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি “শ্রম মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতির সিন্ডিকেট : নিয়োগ বাণিজ্যে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও প্রতিবন্ধী সনদ জালিয়াতি ” শিরোনামে দুই সংখ্যায় দুইটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে । সেই সময় আরো বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় এদের লুটপাটের সিন্ডিকেট বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশ হয় । তাদের অব্যাহত লুটপাটের এবং সিন্ডিকেট বাণিজ্যের অভিযোগে বিশেষ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেট বানিজ্যের দুর্নীতি দমন কমিশন থেকেও তাদের নামে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। আওয়ামী পদদলিত থাকার কারণে সেই সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কোন একশন কার্যক্রম করেননি। শুধু নামে মাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি কোন রিপোর্ট প্রদান করতে পারেননি তাঁদের আওয়ামী প্রভাব এর কারণে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় মালমাল ক্রয় করতে নিজের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান দিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার চলতো তাঁদের লুটপাট বানিজ্য । মন্ত্রণালয়ের একটি নিরেপক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করলে তাদের সকল অপকর্মের থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে ।
বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ পরিচয়ে সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিন্ডিকেট ব্যবসা করতো যে ভাবে এখনও তারা পূর্বের মতই বহাল তবিয়তে তাদের অপরাধ তৎপরতা অবলীলায় চালিয়ে যাচ্ছে সম্মিলিত ভাবে ।
এদিকে, মোঃ সাইফুল ইসলাম হাজারীবাগ সহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় একাদিক ফ্ল্যাট,বাড়ি করেন ও নিজের প্রাইভেট কার গাড়ি ব্যবহার করে চলেন এমন অভিযোগ রয়েছে । এই ব্যক্তি এতই দুরন্ধর যে বর্তমানে সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জনাব আমান উল্লাহ আমান এর নাম ব্যবহার করে বিএনপি পরিচয় দিয়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে মোঃ আসাদুজ্জামান মোড়ল, যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাড়ি করে। তাঁরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, বদলি ও নিজের নামে “স্বপ্নীল” নামক প্রতিষ্ঠান খুলে মন্ত্রণালয়ে সকল সাপ্লাই ব্যবসা বানিজ্য করতো এধরনের কয়েকটি পত্রিকায় রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন রয়েছে যে , এখনো কি তারা তাদের অপরাধ বাণিজ্য চালিয়ে যাবে অবলীলায় । তাদের রুখার কি কেউ নেই । বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের সময়ে প্রভাব খাটিয়ে যে ভাবে বিনা বাধায় মন্ত্রনালয়ে সিন্ডিকেট বাণিজ্য চালিয়ে গিয়েছে সেই ভাবে তারা বর্তমানে চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এদের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা নয় হয় তাহলে মন্ত্রনালয় এরা গিলে খাবে । অভিযোগ রয়েছে এদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বাণিজ্যের একটা অংশ তাদের পতিত আওয়ামী ফান্ডে যায় । মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এদের মাধ্যমে যে পাচার হয় না এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। এ বিষয় গুলোকে মন্ত্রণালয়ের বর্তমান উপদেষ্টা মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট সচিব মহোদয় গুরুত্ব সহকারে নিবেন সেই সাথে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা জরুরি বলে মনে করছে অভিজ্ঞজনরা।