ঢাকা | বঙ্গাব্দ |

সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 7, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728

জুলাই গণ-অভুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছে প্রসিকিউশন।  

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১-এ এই অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলার অন্য আসামিরাও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা। তাঁরা হলেন ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সাবেক সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান, রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার ও রামপুরা থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) তুরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ কালের কণ্ঠকে বলেন, রামপুরা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগটি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। আগামী রবিবার দাখিল করা অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানি হতে পারে। গত ৩১ জুলাই চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। যাচাই-বাছাইয়ের পর তা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে।

নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের কার্নিশে ঝুলছে এক তরুণ, আর ঝুলতে থাকা সেই তরুণকে লক্ষ্য করে গুলি করছে পুলিশ- জুলাই গণ-আন্দোলনের এমন একটি ভিডিও নেট দুনিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কার্নিশে ঝুলতে থাকা তরুণকে গুলি করার ঘটনাটি ঘটে গত বছর ১৯ জুলাই। তখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশ উত্তাল। ঘটনার দিন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরছিলেন আমির হোসেন।

রাজধানী রামপুরা এলাকায় তখন পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলছিল। বাসায় ফেরার পথে তিনি পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার মধ্যে পড়ে যান। এসময় দৌড়ে নির্মাণাধীন ওই ভবনের চারতলায় গিয়ে আশ্রয় নেন। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে পুলিশ ভবনটির চারতলায় উঠে যায়। সেখানে তাঁকে পেয়ে মারমুখী পুলিশ সদস্যরা তাঁর দিকে অস্ত্র তাক করে চারতলা থেকে লাফ দিতে বলেন।

এক পুলিশ সদস্য ভয় দেখাতে কয়েকটি গুলিও করেন। একপর্যায়ে যখন কার্নিশের রড ধরে নিচে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন তৃতীয় তলায় থাকা এক পুলিশ সদস্য ঝুলতে থাকা আমির হোসেনকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করে। সবকটি গুলি তাঁর পায়ে লাগে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর তিনি লাফিয়ে পড়ে নিচতলায় আশ্রয় নেন। তখন তার দুই পা থেকে রক্ত ঝরছিল। এ অবস্থায় তিন ঘণ্টার মতো সেখানে আটকে ছিলেন আমির হোসেন। পরে অপরিচিত কয়েকজন তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আমির। ওই ঘটনার পাশাপাশি রামপুরা এলাকায় একটি শিশুর মাথায় গুলি লাগা এবং শিশুটির দাদি নিহতের ঘটনায় মামলা হয়।

মামলার আসামি হিসেবে চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি সাবেক এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি পুলিশ। পরে ২৮ জানুয়ারি তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দেন। বাকি আসামিদের ব্যপারে কোনো তথ্য দেয়নি প্রসিকিউশন। 


নিউজটি আপডেট করেছেন : Talha


কমেন্ট বক্স