যশোর আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলার আসামি জুয়েল খানকে চার মাসেও আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পালানোর আড়াই মাস পর ওই মামলায় তাকে ও আরও দুই আসামিকে মৃত্যুদন্ডের রায় প্রদান করে আদালত।
তবে জুয়েল খান এখনো পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। পলাতক জুয়েল খান মাগুরার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে। তিনি একই উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইকচালক মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আল আমিন হোসেন হত্যা মামলার আসামি।
গত ১৮ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিনে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় জুয়েল খানকে। আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি হ্যান্ডকাফ থেকে হাত গলিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। ঘটনাটি তোলপাড় সৃষ্টি করে। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে দায়িত্বে থাকা এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন আদালতের হাজতখানার দায়িত্বে থাকা এটিএসআই আছাদুজ্জামান।
এরপর গত ৩ আগস্ট যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জয়শ্রী রাণী দাস ইজিবাইকচালক আল আমিন হত্যা মামলায় জুয়েল খানসহ তিন আসামিকে মৃত্যুদ- প্রদান করেন। অন্য দুই আসামি হলেন শালিখার রামপুর গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ (রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত) এবং যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আলামিন।
ঘটনার পর থেকে আজ অবধি পুলিশ জুয়েল খানের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে আসামিকে ধরতে পুলিশ আদৌ কি তৎপর?
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোছা. রোকসানা খাতুন জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামি জুয়েল খানকে এখনো পর্যন্ত আটক করা যায়নি।
যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেনও স্বীকার করেছেন পালিয়ে যাওয়া জুয়েল খানকে তারা আটক করতে পারেননি। তবে তারা তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন
যশোর প্রতিনিধিঃ মোঃ তারিক হাসান (রকি)