অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন তার 'বাংলাদেশের উৎসব' বইয়ে লিখেছেন, "আজকে আমরা যে ধুমধামের সঙ্গে ঈদ-উল আযহা পালন করি, তা চল্লিশ–পঞ্চাশ বছরের ঐতিহ্য মাত্র"।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মতে, বাংলা অঞ্চলে গরু কোরবানি দেয়ার রীতি শুরু হতে থাকে মূলত ১৯৪৬ সালের দিকে।
তখন হিন্দু জমিদার অধ্যুষিত এই ভূখণ্ডে গরু কোরবানি দেওয়া সহজ ব্যাপার ছিল না। এ জন্য অনেকে গরুর বদলে বকরি কোরবানি দিত, সেই থেকে ঈদুল আজহার আরেক নাম দাঁড়ায় বকরি ঈদ"।
ইসলামি ইতিহাসবিদরা বলছেন, এক সময় আরব বিশ্বে উট, মহিষ ও দুম্বা কোরবানি দেয়ার প্রচলন ছিল। সেখান থেকে পরে বাংলা অঞ্চলেও মহিষ ও ছাগলের সাথে গরুর কোরবানির পশু হিসেবে যুক্ত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান মিয়াজী বিবিসি বাংলাকে বলেন, "সেই সময় এই উপমহাদেশ ও আশপাশে গরুকে সবচেয়ে বেশি হাতের কাছে পাওয়া যেতো। তখন উট ও মহিষের সাথে গরুটাও ওই সময়ে যুক্ত হয়ে গেল"।