ঢাকা | বঙ্গাব্দ |

প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও বেনাপোলের কসাই মিজান হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়নি

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 21, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728
প্রায় এক মাস অতিবাহিত হতে গেলেও বেনাপোলের চাঞ্চল্যকার মিজান ওরফে কসাই মিজান এর হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। নিñিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টিত বাড়িতে বহিরাগত কোন লোকের প্রবেশ ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে না আসায় সন্দেহের তীর মিজান এর স্ত্রী ফিরোজার দিকে। তাহেল ফিরোজাকে কেন কি কারনে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না তা নিয়ে ও শেষ নেই আলোচনার । সিসি ক্যামেরার সাউন্ড অনুযায়ী মিজান এর পরিবারের সাথে ঘটনার আগের দিন স্ত্রী ও মেয়ের সাথে কথা কাটাকাটির ও কিছু শব্দ পাওয়া গেছে বলে ও বিশেষ সুত্রে জানা গেছে।
গত ২৯ আগষ্ট রাত্রে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা কান্ড ঘটে পোর্ট থানার ছোট আচড়া গ্রামে মিজান এর নিজ বাড়িতে। হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় পুলিশের উপরও প্রশ্ন ছুড়ছে এলাকার জনগন। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির আমলে কেন এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারছে না পুলিশ। যদি আসল আসামি বা তার পরিবার এর সাথে জড়িত কিনা তার রহস্য উদঘাটন করতে না পারলে এভাবে একের পর এক চলতে বিভিন্ন এলাকায় এরকম হত্যাকান্ড। মিজান এর স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের কথা বার্তায় ও তেমন কোন কষ্টের লেশ নাই স্বামী ও পিতা হত্যা কান্ডের। মিজান এর মেয়ে সুচতুর ফাতেমা বলেন আমরা কি করে বলব কে আমার পিতাকে হত্যা করেছে? আপনারা এটা বের করুন? আমরা খুব সুখি পরিবার আমাদের কোন গন্ডোগোল নাই।
মিজান এর ছেলে ওমর ফারুক বলেন, হত্যাকান্ড ঘটনার দিন রাত প্রায় সাড়ে ১২ টার পর্যন্ত গেম খেলেছি। কিন্তু কখন কি ভাবে নিজ বাড়ির গেটের মধ্যে তার বাবা খুন হয়েছে কিছু বলতে পারছি না। তবে মিজান এর স্ত্রীর রহস্যজনক আচারন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়ত থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে পারে। এর আগে মিজান এর স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেছিল তার স্বামী অনেক ঋন হয়েছে। আর তার কারনে একটি জমি বেচা কেনার ও কথা চলছিল। তাহলে কি সেই জমি বিক্রি বাধা না মানায় তার স্ত্রী ও মেয়ে কি এ হত্যা কান্ডর সাথে জড়িত? না অভিমান করে নিজে আত্নহত্যা করেছে তা নিয়ে ও জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার সামনে মিজান এর ছেলে ওমর ফারুক এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে সে জানায় আগের দিন পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে তাতে আমার পিতা আত্নহত্যা করবে এমন ঘটনা ঘটেনি। তার মায়ের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে সে বলে না। তার মা এখন কোথায় জানতে চাইলে সে বলে বাড়িতে আছে। তিন চারবার একই প্রশ্নের উত্তর তার মা বাড়িতে আছে বলে সে জানায়। তার আগে খবর পাই তার স্ত্রী ও মেয়ে থানায় আছে। পরে থানার ভিতরে ঢুকে দেখি মিজান এর স্ত্রী ডিউটি অফিসার এর রুমের বেঞ্চে শুয়ে আছে আর মেয়ে চেয়ারে বসে আছে। তাদের নিকট এধরনের প্রশ্ন করলে তারা সেখান থেকে উঠে চলে যায়।
এ বিষয় সদ্য বিদায়ী বেনাপোল পোর্ট থানার ইনচার্জ মো: রাসেল মিয়া বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসলে রহস্য উদঘাটন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে তার পরিবার থানার নজরদারিতে রয়েছে।

 যশোর জেলা প্রতিনিধি -  মোঃ তারিক হাসান (রকি)


নিউজটি আপডেট করেছেন : Talha


কমেন্ট বক্স