রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “‘জুলাই যোদ্ধা’ নামের একটি সংগঠন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল। তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমি নিজেও ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। পরে ঐক্যমত্য কমিশন জুলাই সনদ সংশোধন করেছে। এর পরও তাদের অসন্তোষ থাকার কথা নয়।
‘সেখানে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে, আমি খোঁজ নিয়েছি— তদন্তাধীন আছে। দেখা গেছে, জুলাই যোদ্ধাদের নামে কিছু সংখ্যক ছাত্রনামধারী উচ্ছৃঙ্খল লোক প্রবেশ করেছে। তাদের ফ্যাসিস্ট সরকারের ফ্যাসিস্ট বাহিনী বলে আমি মনে করি। আওয়ামী লীগ বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় এখনো বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে— সেটা গতকাল দৃশ্যমান হয়েছে। এখানে (সংসদের সামনে) জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত সঠিক কোনো সংগঠন বা যোদ্ধা থাকতে পারে না।
এটা ছিল আমার সুস্পষ্ট বক্তব্য।’
‘এ বক্তব্যের মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি বলে দাবি তার। যাতে উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য জুলাই যোদ্ধাদের দায়ী করতে না পারে এবং তাদের সম্মানহানি না হয়।’
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় দেখছেন কিনা— জানতে চাইলে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোননো রাজনৈতিক দল কি বলেছে— ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না? সবাই বলেছে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন চায়। যদি তাই হয়, তাহলে সংশয় থাকবে কেন?’
তিনি বলেন, ‘পিআর দাবিতে আন্দোলন করছে কিছু দল, এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা। এই গণতান্ত্রিক চর্চার জন্যই তো আমরা জীবন দিয়েছি।’
ধারাবাহিকভাবে আগুন লাগার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো তদন্তাধীন। এখন কথা বলা উচিত হবে না। তবে আমার মনে হয়— কিছু কিছু ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। দেশের অস্থিরতা সৃষ্টি করার জন্য কোনো কোনো গোষ্ঠী এগুলো করে থাকতে পারে। এর সঙ্গে পতিত ফ্যাসিবাদ জড়িত থাকতে পারে। তবে এটা তদন্তের আগে বলা যাবে না।’