রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক এম. এ. আজিজ বলেছেন, প্রথমদিকে যতটা নির্বাচনের ব্যাপারে আমার কাছে মনে হলো, নির্বাচন হবে না। আমিও বলেছি। কারণ, যখন লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয় ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের, তখন সবগুলো কথায় বলেছে। নির্বাচন হবে কিন্তু, তবে, যদি এসব ছিল।
এখনো তিনি পরিষ্কার করছেন না। এটা তার সম্ভবত অভ্যাসগত ব্যাপার। ধরেন, ইসি ইতিমধ্যে দেখা করেছে তার সঙ্গে। একান্তে দেখা করেছে।
ফলে ওনারা কী আলাপ করেছে, আলাপের পরে আর কোনো কিছু কারো কাছে বলে নাই।
সম্প্রতি একটি বেসরকারী টেলিভিশনের টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, তিনজন সাবেক সিইসিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেখানে একটা কমিশন করা হয়েছে, তাদের বিষয়টা দেখভাল করার।
এটারও একটা ডেট দিয়েছে। হয়তো তারপরে হলেও হইতে পারে। তবে আমার কাছে মনে হয়, পরিস্থিতি যা, দেশ নির্বাচনের দিকেই যাবে। তবে এও একটা জল্পনা-কল্পনা আছে, শেষ পর্যন্ত কিছু কিছু ইস্যু কিন্তু এখনো অমীমাংশিত।
আজিজ বলেন, এখন বিএনপির তরফ থেকে ১০ বছর দুই টার্ম প্রধানমন্ত্রী এটা মেনে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু শর্ত সাপেক্ষে যে সাংবিধানিক পথগুলো বলা হয়েছে যে, একটা কমিশন করে তারা নিয়োগ দেবে। সে ব্যাপারে বলছে, তাহলে এটা সরকারের প্রতি হস্তক্ষেপ করা। সেই ব্যাপারে যদি শর্ত দেওয়া হয়, তাহলে তারা রাজি নাই। এভাবে বলা হয়েছে।
জামায়াত ও এনসিপির প্রসঙ্গ টেনে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, দ্বিতীয়ত, জামায়াত এবং এনসিপি বলছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হতে হবে। আবার আনুপাতিক হারের নির্বাচন উচ্চকক্ষের হতে হবে। তারপরে নারী আসনও এখনো পুরোপুরি মীমাংসীত হয় নাই। ১০০ সিটের ব্যাপারে মোটামুটি কনসেসাস হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনটা কেমন করে হবে? বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই বর্তমান সংসদ নির্বাচনে যত অনুপাতে সিট পায়, সেই অনুপাতে আগের পদ্ধতিতে নারী আসন ভাগ হবে।
তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ বলছে সরাসরি নির্বাচনে হবে। তো এটার ব্যাপারেও অসমাপ্ত। এখন ধরেন, এনসিপি এবং জামাত যদি তাদের এই দাবিতে অনর থাকে, হ্যাঁ আরো ছোটখাট বিষয় আছে অনড় থাকলে তো মীমাংসা হবে না আমার ধারণা। এখন এখানে যদি বাইর থেকে কোন ইনফ্লুয়েন্স না করা হয়, আমার মনে হয় এই ঐক্যমত কমিশন যে জায়গায় নিয়ে আসছে, আমার মনে হয় এক দুইটা সিটিং এ সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা।