গতকাল সোমবার (১৬ জুন) রাত ১০টায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নদীর ভাঙন রোধ, চরাঞ্চল ও নদীপাড়ের বসতবাড়ি রক্ষার দাবিতে তিস্তা গণসমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. আতিক মুজাহিদ বলেন, ‘নদীগুলোতে ২০১৬ সাল থেকে কোনো মাছ নাই।
নদীর ক্যান্সার হয়ে গেছে। মাঝে দিয়ে পানি না গিয়ে দুই সাইট দিয়ে যায়। নদীটাকে আগে খনন করেন। খনন করলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এটি যদি করতে পারেন, তারপর যদি মনে করেন মহাপরিকল্পনা দরকার—তাহলে তাই করেন। যদি ছোট পরিকল্পনা করে মানুষগুলোকে বাঁচানো যায়, তাই করেন—কিন্তু আমাদের আর ঝুলাইয়েন না। এভাবে আমাদের আশা দেখাইয়েন না। নদীর পারের মানুষগুলোর যে কষ্ট হয় তা আমিও ফিল করি। ত্রাণ এখন মানুষ চায় না কর্মসংস্থান চায়।
তিনি আরো বলেন, ‘রংপুর বিভাগ হচ্ছে একটা বৈষম্য শিকারের বিভাগ। এতদিন আমাদের মুলা ঝুলানো হয়েছে। রংপুরের মানুষের বড় সমস্যা হচ্ছে নদী ভাঙন, চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট-দুর্দশা। সে জায়গা থেকে যেহেতু আমরা একটা জুলাই অভ্যুস্থানের গঠিত পার্টি এনসিপি। আমরা মনে করি এ মানুষগুলোর দুঃখগুলোকে দূর করা দরকার।’
এনসিপি নোহালী ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে নোহালী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ড. আতিক মুজাহিদ। তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির কেন্দ্রীয় সংসদ সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা, সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক। এ সময় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী মাহফুজ শাহ, এনসিপি গঙ্গাচড়া উপজেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী রিফাতুজ্জামান, যুগ্ম সমন্বয়কারী জাহানুর রহমান, জীবন মিয়া, সদস্য আব্দুল বাসেত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।