জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডন সফরটি অহেতুক এবং এতে শুধু দেশের টাকা অপচয় করা হয়েছে। এমনকী যে পুরস্কার তিনি পেয়েছেন সেটিও বিশ্বনন্দিত কোনো সম্মানসূচক পুরস্কার নয়। এরজন্য ৩৯ জনের বিশাল বহর নিয়ে এ সফর দেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিলো না বলেই মনে করছেন তিনি।
গতকাল একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন মাসুদ কামাল।
ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের হাত থেকে ড. ইউনূস পুরস্কার গ্রহণ করেননি জানিয়ে মাসুদ কামাল বলেন, ‘পুরস্কার চার্লসের হাত থেকে নেন নাই উনি। এসব শফিক বলে বেড়ায় শুধু, আর কেউ এটা বলে না। একটা ছবি দেখান তো আমাকে, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে চার্লসের হাত থেকে উনি পুরস্কার নিয়েছেন? পুরস্কারপ্রাপ্তরা লাইন ধরে দাঁড়িয়েছেন, উনিও দাঁড়িয়েছেন। দেখা করেছেন রাজার সঙ্গে।
পুরস্কার দিয়েছে প্রেসিডেন্টের যে ফাউন্ডেশন, মানে রাজার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এক ভদ্র মহিলার কাছ থেকে পুরস্কার নিয়েছেন। এগুলি কি পুরস্কার? জীবনে এ পুরস্কারের নাম শুনেছেন?’
ড. ইউনূস দেশের টাকা অপচয় করেছেন জানিয়ে মাসুদ কামাল বলেন, ‘এ পুরস্কারের জন্য তিনি ৩৯ জনের বিশাল বহর নিয়ে গেছেন। দেশের বিমানেও যান নাই, এমিরেটসে করে ফার্স্ট ক্লাস টিকিটে করে গেছেন। যে হোটেলে ছিলেন উনার রুমের দৈনিক ভাড়া ১০ লাখ টাকা।
চারদিনে উনার রুমের ভাড়াই ৪০ লাখ টাকা। বাদবাকিদের জন্য খরচ হয় নাইরে ভাই? এগুলি বইলেন না আর! আমার কথাটা হলো কি ব্যয়বহুল এই সফরের আগে যদি উনি ফোন করতেন, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যেতো। উনার ক্যারিকেচার করার জন্য আমার জাতির পয়সা অপচয় করছেন উনি।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ না দিয়ে ড. ইউনূসকে অপমান করেছেন। এ অপমান গোটা দেশের।
এমনটা উল্লেখ করে মাসুদ কামাল বলেন, ‘স্টারমার তো দেখাই করে নাই। উনি (ড. ইউনূস) তো এখন আমার দেশের প্রাইম মিনিস্টারের পদমর্যাদার। উনি বিদেশে যে বসে আছেন ওখানকার প্রাইম মিনিস্টারের সাথে দেখা করার জন্য সে, তিনি বলে দিলেন তোমার সঙ্গে আমি দেখা করবো না। এর চেয়ে বড় অপমান আছে? আপনি আমার বাসায় আসলেন। এসে নক করলেন, আমি দরজা খুললাম না। ১০ মিনিট পরে আমার কাজের লোক দরজা খুলে বলে দিলো, স্যার এখন বাথরুমে আছে অথবা স্যার তো ব্যস্ত আছে। আপনি চলে যান। ডক্টর ইউনুস তো একা না। উনার সম্মান জাতির সম্মান, দেশের সম্মান। উনার বেইজ্জতি দেশের বেইজ্জতি।’