সোমবার (৯ জুন) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবির দিঘির মোড়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এনসিপি আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলা শাখা।
জোবায়ের আলম আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু বলা হয়, তাতে আমার কিছু আসে-যায় না। যদি কেউ আবার জাবেদের (সাবেক প্রতিমন্ত্রী সাফুজ্জামান চৌধুরী) মতো আচরণ করে আমাদের ভোট ছিনিয়ে নিতে চায়, তাহলে আমরাও আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ওয়াসিম আকরামের মতো শহীদ হয়ে দাঁতভাঙা জবাব দেব।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনসিপি নেতা দেলোয়ার হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন এম ইউ মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন গণঅভ্যুত্থানে আহত মো. জাবেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদুল আলমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে আহত আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার কর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এনসিপি নেতার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে নানা মহলে তীব্র আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
পরে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জোবায়ের আলম মানিক বলেন, “আমি মূলত বোঝাতে চেয়েছি, আমরা শেখ হাসিনার মতো একজন বড় শক্তিকে প্রতিহত করেছি। এখন কেউ যদি আবার ভোট ডাকাতি করতে চায়, তাহলে আমরা জুলাই আন্দোলনকারীরা আবারও শক্ত হয়ে ফিরে আসব। আমার বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।”