তিনি বলেন, এই বাজেট নিয়ে প্রথমে কী বলা হলো? বলা হলো এটা বৈষম্যহীন বাজেট। বাংলাদেশ তো বৈষম্যহীন! আচ্ছা করমুক্ত আয়সীমা আগামী বছর জুলাই যোদ্ধাদের জন্য ৫ লাখ টাকা। আপনার-আমার জন্য ৩ লাখ টাকা। তাইলে এইটা কি বৈষম্য না? আর জুলাই যোদ্ধা কারা ভাই? ১০ মাস হয়ে গেছে আপনি এখনো জুলাইয়ের আন্দোলনে কতোজন মারা গেছে সেই তালিকাই করতে পারেন নাই।
এই তালিকাই করতে পারেন নাই। তাইলে আপনি এই লিস্টই করতে পারেন নাই। তাইলে জুলাই যোদ্ধা কীভাবে নির্ধারণ করবেন?
মাসুদ কামাল বলেন, কে জুলাই যোদ্ধা? যে রাজপথে গিয়ে মিছিল করছে সে জুলাই যোদ্ধা। রাজপথে মিছিল করে নাই কে? সবাই করছে, গৃহবধূ করছে, বাচ্চারা করছে।
এই সাহস এই দেশের মানুষ কোথায় পেয়েছে। ওই সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভ তার বহিঃপ্রকাশ ছিল ওইটা। তো জুলাই যোদ্ধা না কে? যুক্তিযোদ্ধার তালিকার মতো আরেকটা ধান্দাবাজি শুরু হয়েছে এইটা। এর নাম বৈষম্যহীন বাজেট?
তিনি আরো বলেন, কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা রাখছে। আগে আওয়ামী লীগ আমলে লুটপাট হতো বেশি; সরকার না হয় চেষ্টা করতো এদের একটা ব্যবস্থা করতো।
এবারো কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখছে। তাহলে এখন লুটপাট কে করতেছে? তাহলে কি আমি বলবো কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে কতিপয় এপিএস এবং কতিপয় উপদেষ্টার টাকাগুলি বৈধ করার জন্য? উদ্দেশ্য কী?