ঢাকা | বঙ্গাব্দ |

রাইড শেয়ারের যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মোটরসাইকেল চালক গ্রেপ্তার

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 2, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728

নরসিংদীতে নারী যাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় রাইড শেয়ার মোটরসাইকেলের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মোটসাইকেলের চালক শাহপরানকে (৩০) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পলাশ থানার পুলিশ। শাহপরানের বাড়ি কেরানীগঞ্জ থানার তারানগরের বটতলী (দক্ষিণপাড়া) এলাকায়। 

রবিবার (১ জুন) আসামি শাহপরানকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেশকাত ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তিনি ওই নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, মোটরসাইকেলে ওঠার পর চালকের দেওয়া হেলমেট পরেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার পর বুঝতে পারেন অচেনা ও নির্জন স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। এরপর ধর্ষণের শিকার হন তিনি।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৮ মে বিকেলে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে রাজধানীর শ্যামলীতে যেতে মিরপুর ১২ নম্বর থেকে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেলে উঠেন ওই ভুক্তভোগী নারী। রাত সোয়া ৯টার দিকে ওই নারীকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার পাঁচদোনা-টঙ্গী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের এলিট স্টিল লিমিটেডের কাছে একটি কালভার্টের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যান চালক। সেখানে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন চালক শাহপরান। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে তার স্বজনদের কাছ থেকেও অর্থ আদায় করেন শাহপরান।

পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ মারফত সংবাদ পেয়ে পলাশ থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ২৯ মে ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষক ও প্রধান আসামি হিসেবে মো. শাহপরানের নাম উল্লেখ করে এবং সহায়তাকারী হিসেবে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পলাশ থানায় মামলা করেন।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হান্নানের নির্দেশে ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ ও ডিবিসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো। পরে শনিবার মধ্যরাতে ধর্ষক শাহপরানকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।



নিউজটি আপডেট করেছেন : Talha


কমেন্ট বক্স